সরি বলার সেরা উপায়

টানা ঝগড়া, ভুল বোঝাবুঝি মুহূর্তেই মিটিয়ে দিতে পারে ছোট্ট একটি শব্দ- ‘সরি’। সম্পর্কের ভেতরে যতই ভালোবাসা থাকুক না কেন খিটিমিটি কিন্তু লাগবেই। আর সেই খিটিমিটি জিইয়ে রাখলে সমস্যা বাড়তেই থাকবে। তাই দেরি না করে ঝটপট সরি বলে দিন। তবে জানতে হবে ‘সরি’ বলার ঠিক কায়দা। নয়তো হিতে বিপরীত হয়ে সমস্যা কমার বদলে বাড়তেই থাকবে।

রাস্তাঘাটে কারও পা মাড়ানোর পর ফর্মাল সরির চেয়ে এই ‘সরি’ অনেক আলাদা। তাই ভালোবাসায় এটা প্রয়োজন। এই দু’টিকে মিলিয়ে ফেলবেন না।

মন থেকে ‘সরি’ বলছেন কিনা, তা বুঝতে পারেন কাছের জন। তাই ‘সরি’ বলুন ইগো ঝেড়ে, দ্বিধা সরিয়ে। আন্তরিকতার ‘ফেদার টাচ’ যেন মিশে থাকে আপনার ‘সরি’-তে।

সমস্যা বাসি করবেন না। এটাই সুখী সম্পর্কের অন্যতম চাবিকাঠি। টুকিটাকি ঝগড়া জীবনের সঙ্গেই স্বাভাবিক হয়ে যায় ঠিকই। কিন্তু কিছু মুশকিল নাছোড়বান্দা। তা সরাতে খাটতে হয়। আর এই খাটনিতে দেরি করলে তার আর দাম থাকে না। তাই আপনার তরফেও কিছু ভুল হয়েছে বুঝলে সঙ্গীর এগোনোর অপেক্ষা না করে আগে নিজেই সরি বলে দিন।

তাই সরি বলতে যাওয়ার আগে রাস্তা আটকে দিন ইগোর। ভালোবাসলে কখনো কখনো নত হতেই হয়। তাতে লজ্জা থাকে না, বরং কাছের মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে হয়ে ওঠা যায় আরো প্রিয়।

মেসেজে ‘সরি’ বলা উচিত নয়। তবে ডিসট্যান্স রিলেশনশিপ বা ব্যস্ত জীবনে এ ছাড়া উপায়ও অনেক সময় থাকে না। তবে চেষ্টা করুন, দেখা করে ‘সরি’ বলতে।

অন্য কে দোষী, কার দোষ সিকি ভাগ আর কার পর্বতপ্রমাণ সে ভাবনা ছেড়ে ‘সরি’ বলুন। আঘাত যদি আপনার দিক থেকেই বেশি হয়, তাহলে ‘সরি’র দায়ও কিন্তু আপনার।

শর্ত চাপিয়ে যেমন ভালোবাসা যায় না, তেমন সে সবের শিকল পরিয়ে ‘সরি’ জানানোর মানে নেই কোনো। সরি বলুন নিঃশর্তভাবে।

সব সময় কেবল ‘সরি’তে মন না গললে, ঝগড়া মেটাতে গিয়ে দেখা হলেই সরির বদলে চওড়া হাসুন। এতে আপনার আন্তরিকতা সামনে আসবে। ভালোবাসার প্রকাশ থাকুক আপনার আচরণে। চাইলে নিরালায় একান্তে সময় কাটান।